শীতকালে বিয়ে করার ৯টি সুবিধা
শীতের আগমন মিষ্টি সূর্যের আলো নিয়ে আসে। শীত মানে ভালোবাসার ঋতু। এই ঋতু আসলে বাঙালি বিয়ের মরসুম। অবশ্যই, এটি বিবাহের জন্য উপযুক্ত মরসুম।
বিয়ের জন্য শীতকাল সবচেয়ে পছন্দের সময়। তবে শীতের সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক যাই হোক না কেন, বিয়ে আয়োজক পরিবার কিছু বাড়তি সুবিধা পায়। তাই আপনি যদি বিয়ের তারিখ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন বা আগামী দিনে আপনার পরিবারের সাথে কারো বিয়ের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। কারণ আপনি অনেক সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। বিয়ের আয়োজন করতে হিমশিম খেতে হয় আয়োজকদের। বিয়ের আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল- একটা বিয়েতে এত কাজ করতে হয়! সাধারণত, গরমের দিনে একটু কঠোর পরিশ্রম জিনিসগুলিকে আরও খারাপ করে তোলে। তবে শীতকালে এর বাড়তি সুবিধা রয়েছে। সেজন্য শীতকালই হল বিয়ের উপযুক্ত সময়।
শীতকালে বিয়ে করার ৯টি সুবিধা
শীতকালকে বলা হয় বিয়ের মৌসুম। কারণ বিয়ের জন্য অনেক এলাকায় শীতকে প্রাধান্য দেয়া হয়। শীতকালে বিয়ের আয়োজন করা হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পান আয়োজকরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে বিয়ে করার এমন কিছু সুবিধা।
১. পরিশ্রমে সুবিধা: বিয়ের আয়োজন করতে আয়োজকদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল- কতো কাজই না করতে হয় বিয়েতে! সাধারণত গরমের দিতে একটু পরিশ্রম করলেই হাপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতের দিনে এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা।
২. সাজগোজে স্বস্তি দেয়: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শীতের সময় ছাড়া দীর্ঘ সময় মেকআপ থাকে না। গরমে-ঘামে মেকআপে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শীতের সময় বিয়ের সাজগোজ সহজ হয়। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মন মতো।
৩. ডেকোরেশন: শীতকালে ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁইসহ নানান টাটকা ফুল পাওয়া যায়। তাই কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজন হয় না। চাইলে পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো যায়।
৪. মশারি টানানোর ঝামেলা নেই : বিয়ের আয়োজনে সাধারণ বাড়িতে বহু মানুষের উপস্থিতি থাকে। কিন্তু একটি পরিবারে অতিরিক্ত মশারি তেমন থাকে না। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে সুবিধা, বেশিরভাগ সময় মশারি দরকার হয় না। এমনিতে মশা কম থাকে। আবার অনেকে কাথা-কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর সুযোগ নেই।
৫. হানিমুনে সুবিধা: বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই, ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। একেবারে ষোলোকলা পূর্ণ এক হানিমুন!