ইসলামিক স্ট্যাটাস

কন্যা সন্তান নিয়ে বাবার স্ট্যাটাস, উক্তি ও ক্যাপশন

চলুন দেখে নেওয়া যাক মেয়ের সাথে বাবার মর্যাদা কেমন হবে। আমাদের সমাজে এখনও অনেক জায়গা আছে যেখানে মেয়ে সন্তান পেলে মানুষ খুশি হয় না। তারা এখনো সেই আদিকালের কুসংস্কারে নিমজ্জিত। কিন্তু শিক্ষিত সমাজে এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। যারা একটু শিক্ষিত বা সম্পূর্ণ বোকা, তারাই এসব কথা বেশি মানায়। কিন্তু আজকে আমরা এখানে এমন কিছু স্ট্যাটাস শেয়ার করতে যাচ্ছি যেগুলো একজন মেয়ে শিশুকে আরও বেশি ভালোবাসবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই স্ট্যাটাসগুলো। ছেলেকে নিয়ে মায়ের স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও পিকচার

কন্যা সন্তান নিয়ে বাবার স্ট্যাটাস :

কন্যা সন্তান হলো একজন বাবার জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার । আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি একজন কন্যা সন্তানের বাবা

আল্লাহ্‌ অনেক খুশী হলে মানুষকে কি উপহার দেয় জানেন ? কন্যা সন্তান । হাঁ এটাই ইসলাম এটাই সত্য ।

কন্যা সন্তান হলো যেকোন ঘরের জন্য বরকত । সে সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে একজন আদর্শ পিতা হতে হবে । আল্লাহ্‌ আমাকে একজন আদর্শ পিতা হওয়ার তাউফিক দিন । আমীন ।

একজন আদর্শ বাবার কাছে তার কন্যা সন্তান হলো তার রাজ কন্যা । সে তার রাজ কন্যা কে সুখী করতে জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে ।

সাধারণত প্রতিটি মায়ের কাছে প্রিয় থাকে তার ছেলে সন্তান আর বাবার কাছে প্রিয় থাকে তার কন্যা সন্তান । তবে উভয়ের জন্যই পিতামাতার সমান ভালোবাসা থাকে ।

একটি মেয়ে অনেক গরীব অনেক কালো হতে পারে কিন্তু সে তার বাবার কাছে রাজকন্যা ।

কন্যা সন্তান কখনোই বোঝা নয়, সঠিক যত্ন পেলে একটি মেয়ে একটি সমাজকে পাল্টে দিতে পারে ।

হাদিসে বলা হয়েছে যার একটি কন্যা সন্তান আছে, সে একটি জান্নাতের মালিক হয়ে গেলো । তবে সে তার কন্যাটিকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ।

একজন কন্যা সন্তানের বাবা হিসেবে আমি গর্বিত কারণ আল্লাহ্‌ এর মধ্যেই আমার মঙ্গল রেখেছেন । সবাই দোয়া করবেন আমি যেন একজন আদর্শ পিতা হতে পারি ।

আপনার যদি একজন কন্যা সন্তান থাকে, আপনার জীবনে আর কিছু দরকার নেই । কারণ আপনার সকল বিপদ আপদে সেই এগিয়ে আসবে সবার আগে ।

আপনি আপনার কন্যা সন্তানের যত্ন না নিলেও সে কিন্তু আপনার যত্ন ঠিকই নিবে । কারণ সকল বাবার কন্যারা এমনই হয়ে থাকে ।

একজন বাবার যত্ন নেয়ার জন্য, তার কন্যার চেয়ে বেশী আর কেউ উপযুক্ত নয় । মেয়েরা তার বাবার ব্যাপারে সবকিছু এক করে দিতে পারে ।

একজন বাবা হিসেবে আমার কন্যা সন্তানের উপর আমার অনেক দায়িত্ব, তাই আমাকে একজন আদর্শ বাবা হতে হবে ।

একটি কন্যা সন্তান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি সেই নেয়ামতের মালিক ।

কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

১। যখন কারো ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, তখন আল্লাজ তা’লাহ ফেরেস্তাদের প্রেরণ করেন। যে এসে বলে, “হে ঘরের অধিবাসিরা” তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। (হাদিস ১৩৪৮৪)

২। কন্যা সন্তান জন্মের সাথে সাথে ফেরেস্তারা তাকে কুলে নিয়ে বলতে থাকে, এই কন্যা সন্তান একটি দূর্বল প্রান, যা আরেকজন দূর্বল থেকে ভূমিষ্ঠ হইছে। যে এই দূর্বল প্রাণের লালন পালনের দ্বায়ীত্ব নিবে, আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত তাহার দ্বায়িত্ব নিবেন। (মাযমাউয যাওয়ায়িদ খন্ড ৮ম)

৪। যে ব্যাক্তিকে কন্যা সন্তান লালন পালনের দ্বায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং সে ধৈর্যের সাথে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নামকে আড়াল করে দিবে। (জামে তিরমিযী, হাদিস ১৯১৩)

৫। রাসূল (সাঃ) বলছেন, যে ব্যাক্তির কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদের প্রতি সদয় আচরন করেছেন। সে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল হিসাবে পাবে। (বুখারী, মুসলিম)

৬। কন্যা সন্তান লালন পালনের তিনটা উপহার রইয়েছে আল্লাহর তরফ থেকে। ১। জাহান্নাম থেকে মুক্তি। ২। জান্নাতের প্রেবেশের নিশ্চয়তা। ৩।জান্নাতে রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গী হয়ার সৌভাগ্য। (হযরত মুহাম্মদ সাঃ)

৭। ইসলামে কন্যা সন্তানের ও ছেলে সন্তানের মতোই সমস্ত অধিকার রয়েছে। তাদের খাওয়া-পড়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা-দীক্ষা, চিকিৎসা, বিবাহের ব্যবস্থা – সবকিছুতেই তাদের সমান অধিকার রয়েছে।

৮। কন্যা সন্তানকে আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা দান করা আমাদের কর্তব্য।

৯। কন্যা সন্তানকে ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী লালন-পালন করা আমাদের দায়িত্ব।

১০। কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।

১১। কন্যা সন্তান বোজা নয়, বরং কন্যা সন্তান ঘরের রহমত।

১২। কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা তাদের জীবনে আলোক জ্বালিয়ে দিতে পারি।

১৩। পিতামাতার জন্য বরকত: কন্যা সন্তান পরিবারে সুখ ও বরকত বয়ে আনে।

কন্যা সন্তান জন্ম নিয়ে হাদিস

১। যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য তিন  কন্যা সন্তান বড় করে, তাদের খাওয়া-পড়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিক্ষা-দীক্ষায় যথাযথ যত্নশীলতা করে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযি)

২। যে ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান থাকে, তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।(ইবনে মাজাহ)

৩। যে ব্যক্তি তার  কন্যা সন্তানদের প্রতি দয়ালু ও সদয় আচরণ করে, সে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়। (তিরমিযি)

৪। শিক্ষা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই ফরজ। (ইবনে মাজাহ)

৫। যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তাদের প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদা প্রদর্শন করে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে। (ইবনে মাজাহ)

৬। জান্নাতের দ্বার: হাদিসে রয়েছে, যে ব্যক্তি তিন কন্যা সন্তান বালিগ হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সুনানে তিরমিযি)

৭। যে ব্যক্তির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে এবং সে তাদের ভালোভাবে লালন-পালন করে, সে আমার সামনে (জান্নাতে) এসে এভাবে হাঁটবে যেমন দুটি রানী একসাথে হাঁটে।” (সাহীহ মুসলিম)

৮। কন্যা সন্তান লালন-পালন করা একজন মু’মিনের জন্য জিহাদের সমান।(তিরমিযি)

৯। যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানের প্রতি দয়াশীল আচরণ করে, সে আল্লাহর প্রতি দয়াশীল আচরণ করে। (তিরমিযি)

১০। হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, কন্যা সন্তানকে যত্ন সহকারে লালন-পালন করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। কন্যা সন্তান আল্লাহর অমূল্য বরকত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *